Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

গল্প গুচ্ছ: সঞ্জীব ভট্টাচার্য

সিঁড়ি
------------
-বয়স হচ্ছে,  গলায় মাফলারটা জড়িয়ে বস। আমি হজমের ওষুধ নিতে এই গেলাম কি পেলাম ।
বেড়াতে এসে হোটেলে সাত দিন আছেন প্রিয়তোষ।এর মধ্যে কতবার যে স্ত্রী মমতা তাকে এই বয়সের কথাটা বলেছেন তার ইয়ত্তা নেই। 67 বছরের প্…


সিঁড়ি
------------
-বয়স হচ্ছে,  গলায় মাফলারটা জড়িয়ে বস। আমি হজমের ওষুধ নিতে এই গেলাম কি পেলাম ।
বেড়াতে এসে হোটেলে সাত দিন আছেন প্রিয়তোষ।এর মধ্যে কতবার যে স্ত্রী মমতা তাকে এই বয়সের কথাটা বলেছেন তার ইয়ত্তা নেই। 67 বছরের প্রিয়তোষ গা ঝাড়া দিয়ে উঠলেন , লিফটের দিকে এগোতে গিয়ে থমকে দাঁড়ালেন । না তিনি সিরি দিয়ে তিন তলা থেকে নীচে নামবেন । হঠাৎ কেন কে জানে তার সুন্দরী তরুণী রিসেপশনিস্ট এর কথা মনে এল । তিনি তার সঙ্গে গল্প করবেন মজা করবেন ।
আর মাত্র কয়েকটা ধাপ ওই তো মেয়েটি হেসে হেসে একটি যুবকের সঙ্গে কথা বলছে। ভরা যৌবন ঘেরাটোপ থেকে উঁকি দিচ্ছে। দেখাচ্ছি কিন্তু দেখাচ্ছি না । এ এক রহস্যময় খেলা । প্রিয়তোষ ও এই খেলায় অংশীদার হতে পারেন। তাড়াহুড়ো করে তিনি সিড়ির ধাপগুলো অতিক্রম করতে চাইলেন । শরীরটা কেমন টাল খাচ্ছে তার। হাপাচ্ছেন তিনি ।কখন মেয়েটি এসে তাকে ধরেছে খেয়াল করেননি । আঁচলটা প্রায় পড়েছে গুরুত্ব দিচ্ছে না মেয়েটি । তার চোখে এখন কোন রহস্য নেই । তিনিও চোখের সামনে যেন ছবিহীন পর্দা দেখছেন।
 এইভাবে এই বয়সে আপনার সিঁড়ি ভাঙতে যাওয়া উচিত হয়নি। মায়াভরা গলায় মেয়েটি বলে উঠল। প্রিয়তোষ মনে মনে বলে উঠল সত্যি ঠিক উচিত হয়নি।
**************

চুরি
-------------
পাড়ার রাস্তা হাজারবার চলাফেরা তবু এই জ্যোৎস্নায় কেমন অচেনা। অধ্যাপক প্রতিক চক্রবর্তী প্রতিবেশীদের কাছে ভালো ছেলে। পাড়া পাহারা দিচ্ছে ।পাড়ায় ছিচকে চোরের উপদ্রব দিনকে দিন বাড়ছে। তাই সকলে মিলে সিদ্ধান্ত পাড়ার ৬/৭ জন পুরুষ পাল্টাপাল্টি করে গোটা সপ্তাহ। দু তিনজন করে ভাগে ভাগে ছড়িয়ে পড়া।
পিন্টুর সঙ্গে আছে বাবু ।তাকে করে আঙ্গুল দেখিয়ে ড্রেনটার উপরে দাঁড়িয়ে পড়ে পিন্টু। হঠাৎ তার চোখ গেল মানস দার বাড়ির দিকে ।সেও আজকে পাহারায় অন্য ভাগে। ঘরের জানালাটা খোলা । পর্দার ফাঁক দিয়ে ভিতরটা দেখা যাচ্ছে। নিল নাইট বালবের আলো কিছুটা বেশি উজ্জ্বল। মানসদার বউ মহুয়া বৌদি ঘুমোচ্ছে। উপচে পড়া বুক নাইটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে। নিচের দিকটা হাঁটুর উপরে উঠে গেছে। পিন্টু চোখ ঘোরাতে পারছে না ।বাবুর ডাকে তার চমক ভাঙলো। হন হন করে এগিয়ে চলে সে। চুরির ভয় না থাকার জন্য অনেকদিন পর পাড়াটা নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে বল পিন্টুদা।
-চুরি যে কত রকমের হয়
-কি বললে
দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে পিন্টু উত্তর দেয় "কিছু না"।