" তুমি বলেছিলে" চন্দন ভট্টাচার্য্য
তুমি বলেছিলেআকাশে স্বাতী নক্ষত্রের উদয় হলে লক্ষ্মীপেঁচা ডাকে,তুমি বলেছিলেবোশেখের সূর্য মধ্যগগনে থাকলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেতবুও মানুষ সূর্যের গান গায়।তুমি বলেছিলেসূর্…
" তুমি বলেছিলে"
চন্দন ভট্টাচার্য্য
তুমি বলেছিলে
আকাশে স্বাতী নক্ষত্রের উদয় হলে লক্ষ্মীপেঁচা ডাকে,
তুমি বলেছিলে
বোশেখের সূর্য মধ্যগগনে থাকলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে
তবুও মানুষ সূর্যের গান গায়।
তুমি বলেছিলে
সূর্য ডোবার আগে তার ডান হাত চাঁদের মাথায় রাখে
চাঁদ আলো দেয়
চাঁদের আলোয় নদী সরোবর দরিয়া দিঘির থৈ থৈ জলে ঢেউ ওঠে, ঝিকিমিকি করে
জোনাকির লহর দেখা যায়
প্রেমিক প্রেমিকারা জলকেলি করে
হাতের পেশীগুলো টানটান করে বকধার্মিক পরাক্রম দেখায়
গোপন ডেরা থেকে হিংস্র শ্বাপদ শৃগাল হুক্কাহুয়া ডাকে
হায়েনারা একত্রিত হয়
মুনাফাখোরদের লকলক করে জিভ
চকচক করে চোখ।
তুমি বলেছিলে গোধূলি বেলায় পড়ন্ত রোদ্দুরে
জলঢোঁড়া চন্দ্রবোড়া কালকেউটে শাঁকামুটি শঙ্খচূড় খোলস ছেড়ে ঐ চাঁদেরই সাথে একাত্ম হতে চায়....।
তুমি বলেছিলে
শ্রাবণের অন্ধকার রাতে ঘন জঙ্গলে বুনো হাতিরা
কিচিরমিচির ডাকে
দক্ষ হূলাপার্টিরা ঠিক সে ডাক চিনতে পারে
হুলা জ্বালিয়ে বোম ফাটিয়ে বুনো হাতিদের ভাগিয়ে ছাড়ে....।
তুমি বলেছিলে
ঈশান কোনে হূতোমপেঁচা ডাকলে
অমাবস্যা ও পূর্ণিমা একাত্ম হয়ে কোলাকুলি করে, চুমু খায়, হাত ধরাধরি করে হাঁটতে থাকে।
তুমি বলেছিলে
নীল দিগন্তে সহস্র দীপশিখা দেখা দিলে
ও চৌত্রিশ টি সাধু সন্ন্যাসীর দেহত্যাগ হলে
একজন জননেতার জন্ম হয়
যে জনগনের সুখে হাসে, আমজনতার দুঃখে কাঁদে
দলীয় কর্মীদের হয়ে যায় নয়নের মণি
অন্ধ শতচ্ছিন্ন আহত পিড়ীত কর্মীরাও ফেলে স্বস্তির নিঃশ্বাস, বিরোধীরাও সম্মান নিয়ে বাঁচে
ঘরের ছেলে মনে করে তাকে।
তুমি বলেছিলে
লক্ষকোটি সূর্যের উদয় ও অস্ত হলে
একজন সৎ ও আদর্শবান মানুষের জন্ম হয়
বাঁকা চাঁদের ব্যাঙ্গবিদ্রূপকে থোড়াই পরোয়া করে
ছবি আঁকে, আঁকতে থাকে সে
হাজার খড়্গ, সহস্র নির্যাতনেও তাঁর ছবি অমলিন থাকে।
তুমি বলেছিলে
হাজার বাজ পড়ুক মাথায়
কোটি কোটি উল্কা পড়ুক খসে
সহস্র সিংহের ক্ষুধা আছড়ে পড়ুক পেটে
হাতছানি দিক মৃত্যু বারংবার
তবু সততার পথ ছেড়োনাকো বন্ধু
কোরোনা কখনো আপোষ সমঝোতা ও আঁতলামির কারবার।
তুমি বলেছিলে....
তুমি বলেছিলে.....
তুমি বলেছিলে.....
হে বিদেহী বন্ধু আমার।
Copyright strictly to Chandan Bhattacharya...19.08 2020