সৃষ্টি সাহিত্য যাপন
অস্তিত্বঅপূর্ব চক্রবর্ত্তী
এক অধীর যৌনলালসায় যখন সুবীর গিয়ে ঢুকলো রাধার ঘরে, রাধা তখন সবে মুখে চোখে জল দিয়ে একটু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে নিচ্ছে।সুবীর ঘরের চারিদিক একবার তাকিয়ে দেখে নিল।ঘর বলতে এক কুঠুরীর একটা ঘর।…
সৃষ্টি সাহিত্য যাপন
অস্তিত্ব
অপূর্ব চক্রবর্ত্তী
এক অধীর যৌনলালসায় যখন সুবীর গিয়ে ঢুকলো রাধার ঘরে, রাধা তখন সবে মুখে চোখে জল দিয়ে একটু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে নিচ্ছে।
সুবীর ঘরের চারিদিক একবার তাকিয়ে দেখে নিল।ঘর বলতে এক কুঠুরীর একটা ঘর। সুবীর মাঝে মাঝে আসে রাধার ঘরে। তাই দুজনেই দুজনের কাছে বেশ পরিচিত। একটা তীব্র রজনীগন্ধার এসেন্সে গা গোলানো অনুভূতি হচ্ছে সুবীরের।
রাধা ঘরে আসতেই সুবীর বললো,
-আমার সময় নেই, এক্ষুনি গাড়ী নিয়ে বেরিয়ে যাবো শিলিগুড়ি।
এই নে।
বলেই একটা কড়কড়ে পাঁচশো টাকার নোট হাতে ধরিয়ে দিয়ে রাধাকে জড়িয়ে ধরলো।
রাধা এক ঝটকায় নিজেকে ছাড়িয়ে বললো-
- এখন তুই যা সুবীরবাবু,আমার শরীর মন কোনোটাই ভালো নেই।
- ধুর, বেশ্যার আবার মন খারাপ। তোর শরীরের দাম আমি কম দিইনা,আয় আমার কাছে। কুইক।
রাধার হাতের মুঠোয় নোটটা কুঁচকে যাচ্ছে মুঠোর চাপে। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সুবীরের চোখে চোখ রেখে।ওর কানের পাশ দিয়ে একটা গরম ঘামের ফোঁটা নেমে আসছে।
হঠাৎ দলা পাকিয়ে যাওয়া হাতের নোটটাকে ছুঁড়ে মারলো সুবীরের মুখের উপর।
তার পর দৃঢ় কন্ঠে বলল-
-আমি বেশ্যা হতে পারি। কিন্তু ধর্ষিতা হতে পারবোনা। বেরিয়ে যা।
সুবীর যেন কিছুটা ভয় পেয়েই ধীরে ধীরে বেরিয়ে এলো রাধার ঘর থেকে।
পাকানো নোটটা ফ্যানের হওয়ায় মেঝের উপর বলের মতো গড়াগড়ি খাচ্ছে,রাধার ভেজা চোখের দৃষ্টি স্থির ওই নোটটার উপর, রাধার সমস্ত অস্তিত্ব যেন ওই নোটটার মধ্যেই নিহিত।
*** *** *** ***