Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পৌরসভার তরফে রাজ্য সরকারের বিনামূল্যে রেশন প্রদান

তমলুক,১ এপ্রিল: রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার থেকে বিনামূল্যে দেওয়া শুরু হল রেশন সামগ্রী। জেলার সর্বত্রই দেখা গেল সেই সামগ্রী গ্রহণের জন্য রেশন দোকানের সামনে লম্বা লাইন। রেশন সামগ্রী গ্রহণের জন্য কোথাও মানা হলো সামাজিক দূ…


তমলুক,১ এপ্রিল: রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার থেকে বিনামূল্যে দেওয়া শুরু হল রেশন সামগ্রী। জেলার সর্বত্রই দেখা গেল সেই সামগ্রী গ্রহণের জন্য রেশন দোকানের সামনে লম্বা লাইন। রেশন সামগ্রী গ্রহণের জন্য কোথাও মানা হলো সামাজিক দূরত্বের নিয়ম আবার কোথাও বা মানে হলো না কোনো বিধি-নিষেধ এমনটাই চিত্র দেখা গেল জেলা জুড়ে। আর যে কারণেই কোরোনা সংক্রমনের আতঙ্ক  থেকে বাঁচতে রেশন সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসার দাবি তুললেন কেউ কেউ।


গোটা দেশজুড়ে লকডাউন জারি হওয়ার কারণে দোকানপাট খুব একটা খোলা নেই। আর তাই সাধারণ মানুষ দোকানে গিয়ে ও তাদের খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারেননি। ফলে রাজ্যসহ জেলার বহু মানুষ খাদ্য সঙ্কটের সম্মুখীন হচ্ছিলেন দিনদিন। সেই অভাব কাটাতেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবার থেকে রাজ্যের প্রতিটি রেশন দোকান থেকে বিনামূল্যে চাল ও আটা সরবরাহ শুরু করে খাদ্য দপ্তর। আর সেই সামগ্রী সংগ্রহ করতেই রেশন দোকান গুলিতে করোনার আতঙ্ক দূরে ঠেলে উপচে পড়লো ভিড়। সেই দূর থেকেই এবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। কোরোনার ভয় থেকে বাঁচতে রেশন গ্রাহকরা দাবি জানাচ্ছেন সরকার যদি বাড়িতেই খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে আসত তাহলে কোন আতঙ্কেই থাকত না।

রেশন সামগ্রী নিতে আসা কনকপুরের বাসিন্দা মল্লিকা জানা জানান, বহু মানুষ দোকানে রেশন সামগ্রী নেওয়ার জন্য এসেছেন। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার চেষ্টা করা হলেও কিছু কিছু সময় তা মানা হচ্ছে না। তাই আতঙ্ক কিছুটা থাকছে বৈকি। তবে এই সামগ্রী যদি সরকারের তরফ এ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসা হতো তাহলে কোন আতঙ্ক থাকত না।

রেশন ডিলার মতলেব খান জানিয়েছেন, পুলিশ ও পৌরসভার তরফে রাজ্য সরকারের বিনামূল্যে রেশন প্রদানের আগেই বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সামাজিক দূরত্ব তৈরি করার বিষয়টি। তা মেনেই আমরা রাত জেগে চুন দিয়ে দাগ তৈরি করে দিয়েছি। তা মেনে চলেই মানুষ খাদ্য সামগ্রী গ্রহণ করছেন। দোকানের সামনে জল সাবানও রাখা হয়েছে হাত ধোয়ার জন্য। এখনো পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি। চাল আটা না খেলেও মানুষ বাঁচবে রোগ ছড়িয়ে পড়লেও কোনভাবেই বাঁচানো সম্ভব নয় তাই এত ব্যবস্থা করা।