করোনা আতঙ্কের মাঝেই চুপিসারে ডেঙ্গু থানায় আক্রান্ত হল কোলাঘাটের এক শিশু কন্যা। স্বভাবতই এমন ঘটনা তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোলাঘাটে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চলতি বছর এ পর্যন্ত…
করোনা আতঙ্কের মাঝেই চুপিসারে ডেঙ্গু থানায় আক্রান্ত হল কোলাঘাটের এক শিশু কন্যা। স্বভাবতই এমন ঘটনা তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোলাঘাটে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চলতি বছর এ পর্যন্ত সরকারিভাবে প্রায় পাঁচ জনের রক্তের নমুনা য় ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। তবে বিশ্বজুড়ে চলা এই করোনা মহামারীতে তা অনেকটাই চাপা পড়ে যায়। আর এখানেই অশনিসংকেত দেখছেন চিকিৎসক মহল। কারণ বর্তমানে জ্বর হলেই করনা কে প্রাধান্য দিয়ে যাবতীয় চিকিৎসা বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আর তাতেই ঢাকা পড়ে যাচ্ছে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা ও সতর্কতার বিষয়টি। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ই 1 বছর দুয়েকের শিশুকন্যার রক্তের নমুনা য় এলাইজা রিপোর্টে ডেঙ্গির জীবাণু ধরা পড়ে। জানা গিয়েছে কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা শেখ মাশরুম আজাদ। তারই বছর দুয়েকের শিশুকন্যা মান্নাথ পারভীন। দশ দিন ধরে জ্বরে কাবু হয়ে পড়েছিল। সেই সঙ্গে হাত পা ও শরীর ফুলতে শুরু করে। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কোলাঘাটের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার রক্তের নমুনা এলাইজা রিপোর্টে ডেঙ্গুর জীবাণু পাওয়া যায়। কোলাঘাটের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ভৌমিক জানিয়েছেন, বর্তমানে ওই শিশুকন্যার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। তবে তার শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মেলায় নিয়মমাফিক বিষয়টি ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরে জানানো হয়েছে। কাজেই করনার পাশাপাশি চুপিসারে ডেঙ্গির হানা ঠেকাতে আমাদের সকলকে আরও সচেতন হওয়ার প্রয়োজন। এ বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মন্ডল বলেন, চলতি বছরের প্রথম দিকেই জেলায় মাত্র 5 জনের শরীরে ডেঙ্গুর জীবাণু পাওয়া গিয়েছিল বটে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি মোটের উপর স্বাভাবিক।